October 24, 2024, 12:11 pm
নুরুল আমিন হাসানঃ রাজধানীর সর্বত্রই প্রতি কেজি গরুর গোশতের দাম ৭৫০ টাকা থেকে ৮০০ টাকা। কিন্তু উত্তরখানে মাইকিং করে ৬৮০ টাকা কেজি দরে গরুর গোশত বিক্রি করা হচ্ছে। এতে ক্রেতারা কিনে আনন্দিত। আর বিক্রেতারা বলছেন, ভালো বিক্রি হচ্ছে।’
উত্তরখান মাজারের নতুন বাজারের ‘পারভেজ গোশত বিতান’ ও ‘রহমান গোশত বিতান’ এ শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে সারা দিন এভাবেই স্বল্প দামে মাইকিং করে গোশত বিক্রি করা হচ্ছে।
সরেমিনে মাজারের ওই দুই গোশতের দোকানে সামনে গিয়ে দেখা যায় উচ্ছে উপচেপড়া ভিড়। গোশত কিনতে এসেছেন দূর দূরান্ত থেকেও। বিষয়টি এখন উত্তরখান, দক্ষিণখান ও উত্তরার কাঁচাবাজারে ‘টক অপ দ্যা টপিকসে’ পরিণত হয়েছে।
দক্ষিণখানের ফজিরবাতান থেকে আগত বেসরকারী চাকুরীজীবী মো. কামরুল বলেন, ‘আজ কমে পাইছি, তাই বেশি করে নিয়েছি। গত ছয় মাসেও ৭০০ টাকায় কেজিতে গোশত কিনতে পারিনি।’
উত্তরখানের বড়বাগের রিকশাচালক মো. হালিম কম দামে গরুর গোশত কিনতে পেরে মহাখুশি। তিনি বলেন, ‘আমি এক বছরে এই দামে গরুর গোশত কিনতে পারিনি। আজ মুরগি কিনলাইম অইলে। কিন্তু দেশি মুরগির দামে গরুর গোশতই পাইছি। তাই গরুর গোশতই কিনছি। অনেক দিন পর স্ত্রী-সন্তান নিয়ে গরু খাইমু।’
মাজারের ওয়ার্কশপ দোকানের কর্মচারী রাহুল বলেন, ‘ছয় মাস আগে ৭০০ টাকা করে গরুর গোশত কিনছি। আজ ৬৮০ টাকা করে কিনে ভালো লাগলো। ছেলে মেয়েরা খেতে চাইলো, আর দামেও কমে পাইলাম, তাই কিনতে নিলাম।’
দক্ষিণখানের গার্মেন্টসকর্মী লিখন ও ইমরান একসঙ্গে গোশত কিনতে এসে বলেন, ‘গতকালকেও ৭৫০ টাকা কেজি করে গরুর গোশত কিনেছি। কিন্তু আজ ৬৮০ টাকা কিনে তো পুরাই অবাক। অন্তত এক বছর আমরা এই দামে গোশত কিনতে পারছি।’
পারভেজ গোশত বিতানের মালিক পারভেজ হোসেন বলেন, ‘দামে কম পাইছি তাই কমে বিক্রি করছি। যেমন কিনতে পারবো, তেমনই বিক্রি করবো। আজ অন্যান্য দিনের থেকে অনেক বেশি বিক্রি হইছে। পাঁচ মণের বেশি ওজনের গরুর গোসত সকাল ৯টার মধ্যেই বিক্রি হয়ে গেছে। পরে আবার গরু জবাই দিয়ে বিক্রি করা হইছে।’
তিনি বলেন, ‘বাজারে দ্রব্যমূল্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী। দাম বেশির কারণে নিম্নবিত্ত মানুষের গরুর গোশত ক্রয় ক্ষমতা নাগালের বাইরে চলে গেছে। তাই এ ভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। যেন সব শ্রেণী পেশার মানুষই গোশত কিনে খেতে পারে।
পারভেজ হোসেন আরো বলেন, ‘আমি চেষ্টা করবো সাধারণ জনগনকে ৬০০-৬৫০ টাকা কেজি দরে গরুর গোশত সাধারণ মানুষকে খাওয়াতে।
রহমান গোশত বিতানের মালিক মোহাম্মদ রহমান দুর্নীতি রিপোর্ট ২৪.কমকে বলেন, ‘নতুন বাজার জমজমাট করার জন্যই নতুন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অন্য দিনের তুলনায় দ্বিগুন বিক্রি করেছি। কাস্টমাররা আজ মহা খুশি ছিল।’
এদিকে পাশের বাজারেই ৭৫০টাকা করে কেজি গরুর গোশত বিক্রি করতে দেখা যায়। এছাড়াও দক্ষিণখান বাজার, উত্তরা বিডিআর কাঁচাবাজার, ১১ নম্বর, জহুরা মার্কেটের কোথাও কোথাও, হাজীক্যাম্প ৭৫০-৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রির খবর পাওয়া গেছে।